কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ছবি নেই, ক্ষুব্ধ চলচ্চিত্রপ্রেমীরা
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ প্রযোজনায় একের পর এক ছবি তৈরির মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। অথচ কলকাতায় ২৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কোনো বিভাগেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে জায়গা দেয়া হয়নি। এ বছর বাংলা চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উপলক্ষে উৎসবে নানা আয়োজন রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে মূল বিভাগে বাদ রাখায় কলকাতার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে অভিমত জানতে উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান অভিনেতা প্রসেনজিৎয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। কখনো দুটি, কখনো তিনটি ছবিও দেখানো হয়েছে। গত বছরে উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পরিচালক আবু সাঈদ।
তার পরীক্ষামূলক ছবি ‘এক কবির মৃত্যু’ দেখানো হয়েছিল প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে। এ বছর কোনো রহস্যজনক কারণে বাংলাদেশের ছবি বাদ পড়ল তার কোনো উত্তর চেষ্টা করেও জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উৎসব কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে নাকি ২টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে জায়গা করে দিয়েছে। অবশ্য উৎসবের ওয়েব সাইটের অফিসিয়াল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকাতেও কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের নাম নেই। ‘গিন্নি’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাংলাদেশের বলে দাবি করা হলেও সেটির পরিচালক ভারতের স¤্রাট দাস। তাই সরকারিভাবে সেটিকে ভারতের চলচ্চিত্র বলেই উল্লেখ করা হযেছে। তবে এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা আবুল হায়াত। বাংলাদেশের কাইনেটিক নেটওয়ার্ক এটির প্রযোজক বলে জানানো হয়েছে। এদিকে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলা চলচ্চিত্রেরই জয় জয়কার। বাংলা চলচ্চিত্রের শতবর্ষে বাংলাদেশের কোনো কালজয়ী চলচ্চিত্রকেই জায়গা দেয়া হয়নি। এই অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। উৎসবে দেখানো হবে ১৪টি কালজয়ী বাংলা ছবি। এ ছাড়া সুপ্রিয়াদেবীকে নিয়ে হচ্ছে স্পেশ্যাল ট্রিবিউট। দেখানো হচ্ছে তার অভিনীত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি।